বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনার আসল পরিচয়
একটি আত্নসমালোচনা মূলক বিশ্লেষণ।
১) সে ছোট কাল থেকেই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনার সৈনিক হিসাবে কাজ করতে গর্ববোধ করতাম। এ সংঘটনটি শুরুতেই অরাজনৈতিক বলে ইসলাম অপূর্ণাঙ্গ হিসাবে আত্নপ্রকাশ করলে স্বাভাবিক ভাবে আমরা নেতৃত্বের প্রতি সম্মান রেখে এবং না জেনে বিষয়টি মেনে নিলেও যুগের সংস্কারক, মহান দিশারী তা মেনে নিতে পারেননি।
২) সে অরাজনৈতিক ধারা আবার জামাত ঠেকানোর লক্ষ্যেই রাজনৈতিক হয়ে গেল তবে তাও আবার ভ্রান্ত রাজনীতির রূপরেখা দিয়ে। আমরা এবার ও তা মেনে নিয়ে তা কায়েমের লক্ষ্যেই নিরন্তর প্রচেষ্টায় রত হলাম ভ্রান্ত রাষ্ট্র কাঠামোর সহায়ক হয়ে গেলাম। কিন্তু যুগের মহামান্য ইমাম তো তা মেনে নিতে পারেননা।
৩) আবার শুরু থেকেই শিয়াবাদ নিয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা না থাকায় নেতৃবৃন্দ শিয়া নেতাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জডিয়ে গেল অনুষ্ঠানে আহমদুল হক, বজলুর রহমান সহ অন্যান্য শিয়া নেতাদের প্রাধান অতিথি, বিশেষ অতিথি বানিয়ে তাদের মতবাদ প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া হল। এখানেও আমরা অসহায়। না জেনে নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতায় গ্রহন করে নিয়ে বাতেলের সাথে একাকার হয়ে গেলাম।
কিন্তু পথহারা মানুষের দিশারী যুগের ইমাম কি করে তা মানতে পারেন?? কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননা।
তাই তো তিনি রাত দিন একাকার করে সব কিছু উজাড় করে হক বাতেল না চিনে বাতেলে একাকার হয়ে যাওয়া ভাই বোনদের কে এক এক করে উদ্ধার করে ইসলামের মূল আকিদা, প্রকৃত আদর্শ ও পূর্ণাংগতার দিশায় যুক্ত করে সত্যিকারের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে তাদের কে দায়িত্ব দিয়ে দিলেন অন্যান্য সরলমনা ভাই বোনদের কে মুক্ত করার জন্য। সে সকল নেতৃবৃন্দ ও নিরলস পরিশ্রম করে বিশ্বব্যাপী পথ হারা দিশে হারা মুক্তিকামী অসংখ্য ভাই বোন কে হক বাতেল চিনিয়ে হকের ধারায় যুক্ত করলেন।
যাদের কাছে সে সত্যের দাওয়াত পৌছেছে আমিও তাদের একজন। আমি দাওয়াত পেয়ে সে সত্যের বাণী শ্রবণ করে নিজের অবস্থান বুঝতে পারলাম এবং হকের ধারায় যুক্ত হওয়ার শপত নিলাম। কিন্তু সরলমনা ভাই বোনরা সত্যের ধারায় যুক্ত হলে কিছু স্বার্থান্বেষী নেতৃত্ব তাদের নিজের স্বার্থের ক্ষতি হচ্ছে, ব্যবসা-ধান্ধাবাজি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেখে ভাই বোনেরা যাতে সত্যের ধারায় যুক্ত না হয় সে জন্য খোদ ইমামতের বিরুদ্ধাচারণে নেমে গেলেন। আমরা আগে শিয়াবাদ না চিনে তাদের সাথে একাকার হয়ে গেলেও ইমামতের মাধ্যমে জানতে পারলাম শিয়াবাদ আর ইসলাম এক নয়। শিয়ারা ইসলামের শত্রু। কিন্তু দুঃখের বিষয় যিনি আমাদের কে শিয়াবাদ থেকে মুক্ত করলেন ঐ সকল স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নিজ স্বার্থে ইমাম কেই শিয়া বলে জগন্য অপবাদ দিয়ে চরম মিথ্যাচারে নামলেন।
একটা বিষয় ভেবে দেখা দরকার যে ইসলাম গ্রহনের পূর্বে ইসলামের বিরুদ্ধে বলেছে এমন অনেকেই পরবর্তীতে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসে নিজের ভূল বুঝতে পেরে সত্য ইসলাম কে মেনে নিয়েছে এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে সৌচ্চার হয়েছে। এখন কেউ যদি ইর্ষান্বীত হয়ে ঐ ব্যক্তির ইসলাম গ্রহনের পূর্বেকার বক্তব্য তুলে ধরে যার কাছে ইসলাম গ্রহন করেছে তাকেই ইসলাম বিদ্ধেষী বলে তবে তা হবে চরম মূর্খতা, বেয়াদবী। বরং দেখতে হবে ঐ ব্যক্তি তাঁর আগের অবস্থানে আছে কিনা।
বর্তমানে যারা এ ধরনের বেয়াদবির মধ্যে লিপ্ত আছেন তাদের অনেক নেতাই দেখা যাচ্ছে শিয়াবাদে যুক্ত। তাই যুগের ইমামের সমালোচনায় না গিয়ে নিজের অবস্থান পর্যালোচনা করে দেখার আহ্বান রইল।
যুগের মহান ইমাম ”ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা”- এটা আমরা মানি বা না মানি এটাই সত্য। তাই সুন্নীয়তের ভালবাসার নামে সুন্নীয়তের ক্ষতির চেষ্টা না করার বিনীত অনুরোধ করছি এবং সত্য কে উপলব্ধির লক্ষ্যে আলোচনার আহ্বান করছি।
No comments