হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহে রাহমা নিঃসন্দেহে যুগের ইমাম ও সবার জন্য মুক্তির দিশারি।
ছবিঃ- হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা |
যেমন ১২ই রবিউল আউয়াল প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগনের যে অনন্ত মহা খুশির উপলক্ষকে যখন জন্ম-মৃত্যু দিবস, সীরাত দিবস হিসেবে দেখিয়ে শানে রেসালাতে বেয়াদবি করছে তখন যুগের ইমাম হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা ১২ই রবিউল আউয়াল যে মুমিনের জীবনের সর্বোচ্চ পাওয়া ও আল্লাতায়ালার সর্বোচ্চ রহমত ও নেয়ামতের অনন্ত মহা শোকরিয়া হিসেবে সেই দিনকে ঈদে আজম ঘোষণা করেছেন এবং সেই সাথে ঈদে আজমের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি, কেন, কি জন্য, কি উৎখাত এবং কি কায়েমের জন্য ঈদে আজম হল তার শিক্ষা চেতনা কর্মসূচীও তুলে ধরেছে। কেউ কি তা অস্বীকার পারবেন?
দীদারে ইলাহী, আল্লাহতায়ালার সাথে প্রিয়নবীর প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ ঈদে মেরাজ ও এর শিক্ষা চেতনাকে যখন ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে নিছক হালুয়া রুটি খাওয়া এবং ঈদে মেরাজকে জিবরাঈল আলাইহি সালামের সাথে সাক্ষাৎ, স্বপ্ন যোগে দীদার (নাউজুবিল্লাহ) ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে ঈদে মেরাজ অস্বীকার, শানে রেসালাত করার যখন পায়তারা চলছিল তখন সেই দিনকে মহাগৌরবময় মহান ঈদে মেরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন এবং এর পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা চেতনা দুনিয়ার বুকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন যুগের ইমাম হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা যা কেউ কি অস্বীকার করতে পারবেন?
প্রচলিত আশুরা শব্দ ব্যবহার করে ১০ই মহররম শাহাদাতে কারবালার প্রকৃত শিক্ষা চেতনাকে যখন ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে এবং ১০ই মহররমকে যখন কুফরি শিয়াবাদীদের দিবসে পরিণত করা হয়েছে, ১০ই মহররম যখন ছিনতাই হয়েছে তখন হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমাই ১০ই মহররমকে আশুরা নয় মুসলিম মিল্লাত ও সমগ্র মানবতার জন্য জাতীয় শহীদ দিবস ঘোষণা করে শিয়াবাদের মূলে কুঠারাঘাত করেছেন এবং ছিনতাই হওয়া এই দিনকে সুন্নীদের হাতে আবার নিয়ে এসেছেন। এছাড়া কিসের লক্ষ্য কি উদ্দেশ্য, কি রক্ষা, কি উৎখাত ও কি কায়েম করার জন্য এই অতুলনীয় শাহাদাত সুস্পষ্টভাবেই বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসহ তুলে ধরেছেন যা কেউ কি অস্বীকার করতে পারবে?
ঈমানদারের প্রাণের ভূমি, সব মানুষের কল্যাণ দিশা হেদায়াতের কেন্দ্র হুদ্দাল্লিল আলামীন কেবলাভূমি মদিনাতুল মনোয়ারা এবং মক্কাতুল মুকাররমাতে যখন ইহুদী দাস আবু জাহেল আবু লাহাব কাফের এজিদের দাস দোসরা কায়েম হয়ে জবরদখল করে আল আরবকে সৌদি আরব ঘোষণা করে দ্বীনকে উৎখাত ও বিপরীত ওহাবীবাদ কায়েম করেছে স্বৈরদস্যুতা মুলুকিয়ত কায়েম করেছে তখন হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা তাদের কায়েম হবার দিবস ২৩শে সেপ্টেম্বর ১৯৩২ কে সমগ্র মিল্লাত ও মানবতার জন্য আঁধার দিবস ঘোষণা করেছেন যা সব মুমিনের প্রাণের কর্মসূচি কারণ কেবলাভূমিতে বাতেল কায়েম সব মুমিনেরই সমস্যা সংকট এবং এ উদ্ধারের কর্মসূচি সবার প্রাণের কর্মসূচি তা কি কেউ অস্বীকার করতে পারবেন?
আহলে সুন্নাতের জীবনের রুপরেখা তথা রাজনৈতিক রুপরেখা খেলাফতকে যখন ধ্বংস করে দিয়ে ভুলিয়ে দিয়ে বিপরীত মুলুকিয়তকে তথা ইসলামী রাষ্ট্রের নামে ওহাবী শিয়া খারেজী অপরাজনীতি বা বিভিন্ন অধর্ম উগ্রবাদের অপরাজনীতি বা বস্তুবাদের অপরাজনীতিকে যখন সুন্নী রাজনীতি বলে চালিয়ে দিয়েছিল তখন হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমাই সুন্নী রাজনীতি যে খেলাফত তথা খেলাফতে ইনসানিয়াত বা মানবতার রাষ্ট্র ও বিশ্ব তা তুলে ধরেছেন এবং সব বাতেলের অপরাজনীতি দূর করে তাদের গ্রাস থেকে উদ্ধারের পথ দিয়েছেন যা কেউ কি অস্বীকার করতে পারবেন?
পূর্ববর্তী সমস্ত আইম্মায়েকেরাম আউলিয়াকেরামের শিক্ষা চেতনা সংগ্রাম কি জন্য কেন তা হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা তাঁদের সকলের গোলামিয়ত্বের ধারায় আউলিয়াকেরামের জীবন চেতনা সংগ্রামের লক্ষ্য যে মানুষকে বস্তুর দাসত্ব থেকে মুক্ত করে তাওহীদভিত্তিক রেসালাতকেন্দ্রিক করা। তাঁদের সেই জীবন চেতনাকে তুলে ধরা এবং সেই কেন্দ্রিক করার জন্য শানে গাউছেপাক, শানে খাজাবাবা ও জামে আউলিয়াকেরাম রহমতুল্লাহ আলাইহিম সম্মেলন দান করেছেন এবং সেইভিত্তিক জীবন চেতনার দিশা দান করেছেন। কেউ কি অস্বীকার করতে পারবেন?
যুগের ইমাম হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা সুন্নীয়তের সুস্পষ্ট সংজ্ঞা দিয়েছেন যে, সুন্নী মানে সব বাতেল থেকে মুক্ত থাকা এবং আকিদা, আধ্যাত্মিক, মানবিক রাজনৈতিক সবদিকে কলেমা কারবালার পথে ভাইবোন সবাইকে নিয়ে চলা। এত সুস্পষ্ট সংজ্ঞা কেউ কি দিয়েছেন? সব বাতেলকেও চার শ্রেণীতে ভাগ করে চিহ্নিত করে দিয়েছেন যেমন ইসলামের নামে বাতেল ফেরকা, বিভিন্ন ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদ, বস্তুবাদ এবং এই তিন বাতেলের রাষ্ট্র কাঠামো মুলুকিয়তকে চিহ্নিত করে মুক্তির রুপরেখা দিয়েছেন যা কেউ কি অস্বীকার করতে পারবেন?
মুসলিম মিল্লাতের ঈমানী জাতীয়তা, চেতনা ভুলিয়ে দিয়ে বিভক্ত করে পরষ্পর শত্রু বানিয়ে দিয়ে যখন মিল্লাতকে ধ্বংসের চরম শিখরে উপনীত করা হয়েছে তখন হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা নিজেদের ঈমানী জাতীয়তা ও চেতনা ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং সবদিকে নিজেদের পথ ও বিপরীত পথ চিনিয়ে দিয়ে হক বাতেল চির পার্থক্য করে দিয়েছেন।
এভাবে অসংখ্য দিশা প্রমাণ করে সাক্ষ্য দেয় হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা যুগের ইমাম। ইমাম হায়াতের দিশা দিকদর্শন অকাট্য কলম ধরার কোন সুযোগ নেই। যারা সুন্নীয়ত নিয়ে এতদিন ভণ্ডামি প্রতারণা করেছে সুন্নীয়তকে খন্ড বিখন্ড করেছে বস্তুবাদের সাথে একাকার করেছে তাদের থেকে মুক্ত করছেন। সব বাতেল থেকে মুক্তির পথ দিয়ে যিনি পুরো মুসলিম মিল্লাতকে ও সমগ্র মানবতাকে মুক্তির দিশা দিচ্ছেন শুধুমাত্র প্রতিহিংসা ও স্বার্থের কারণে যারা তাঁর বিরোধীতা করছেন তাদের বলব সুন্নীয়তকে ভালোবাসলে আলোচনায় আসুন শুনুন বসুন। না জেনে বা কারো মিথ্যা অপপ্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে মিথ্যাচার করলে বা সত্যের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে অভিশপ্ত ও জাহান্নামী হবেন। মনে রাখবেন মিথ্যা তোহমদ দানকারী ও মিথ্যাবাদীর উপর আল্লাহতায়ালার লানত রয়েছে।
Absolutely
ReplyDelete