Header Ads

আওলিয়া কেরাম

আওলিয়া কেরাম
                আওলিয়া কেরাম
আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ যখন ভূলিয়ে দেয়া হয়, বিকৃত করা হয়, হারিয়ে যায় তখন সেখানে প্রকৃত ইসলাম আর থাকে না। ইসলামের নামে শয়তানী পথভ্রষ্টতা বর্বরতা ও কুফরী কায়েম হয়। যেমন আলোহীন আঁধারে চোর ডাকাত দুর্বৃত্ত তাণ্ডব শুরু হয়। যারা আওলিয়া কেরাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তারা সত্যের সম্বন্ধ হারিয়ে আত্মিকভাবে মৃত ও পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে এবং তাদের মাধ্যমে প্রকৃত ইসলাম বিকৃত বিলুপ্ত হয়ে ইসলামের ছদ্মনামে দোজাহানে ধ্বংসাত্মক কুফরি জালেম বাতেল ফেরকা গড়ে উঠেছে, মিল্লাত বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। তাই আমাদেরকে আল্লাহতায়ালা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামের নির্দেশ হিসেবে নিজেদের আত্মা-জীবন, ঈমান-দ্বীন ও দোজাহানের সাফল্য ও মুক্তির স্বার্থে অবশ্যই আওলিয়া কেরামের পথে যুক্ত থাকতে হবে, আওলিয়া কেরামের পথে চলতে হবে যা ব্যতীত আমাদের জীবন আঁধার বিনাশের পথে চলে যাবে।
আওলিয়া কেরামের পথ ছাড়া যেমন সত্য ও মুক্তির কোন উপায় নেই, তেমনি আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ আজ দুর্লভ হয়ে গেছে। তাঁদের পথের নামে অনেক বিকৃতি মূর্খতা ভণ্ডামী ব্যবসা প্রতারণা চলছে। আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ খুজে পাওয়া জীবনের অতিজরুরী গুরুত্ত্বপূর্ণ অর্জন, যা আমাদের অবশ্যই পেতে হবে এবং এর বিপরীত বিকৃতি প্রতারণা সম্পর্কেও সজাগ হতে হবে, মুক্ত থাকতে হবে। কারন হীন স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধোকা দিয়ে আওলিয়া কেরামের পবিত্র নামের অনেক অপব্যবহার হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে আওলিয়া কেরামের পবিত্র নামে তাঁদের তরিকতের নামেও আজ তাঁদের দিকদর্শনের বিপরীতে ভূল পথে পরিচালনা করা হচ্ছে। ভূল পথে অনন্তকাল চলেও কখনও কোন লক্ষ্য অর্জন করা যায় না। ভূয়া পথে থাকার মধ্যে সাময়িক কোন হীন স্বার্থসিদ্ধি হলেও জীবনের কোন প্রকৃত লাভ নেই। যে কোন ভ্রান্ত পথ জীবনের জন্য প্রকৃত পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর, কলংকজনক ও আখেরাতে চরম আফসোস ও দুঃখের কারন হবে। আওলিয়া কেরামের নামে তাঁদের ছদ্মবেশে ভূলপথে পরিচালিত করা আজ আমাদের মিল্লাতের ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের অন্যতম কারন। যা থেকে আমাদের আজ তাঁদের পথের সঠিক দিকদর্শনে উদ্ধার হতেই হবে।
আওলিয়া কেরামের পবিত্র নাম নেয়া হচ্ছে, তাঁদের নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁদের শিক্ষা ও পথ আড়াল করা হচ্ছে, বিকৃত বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ভেজাল ও মিথ্যাকে প্রশ্রয় ও পথ করে দেয়া হচ্ছে, সত্য ও মুক্তির পবিত্র পথকে বিভিন্ন কৌশলে অবজ্ঞা উৎখাত করা হচ্ছে। আত্মিকভাবে অন্তসারশূন্য ও বস্তুবাদী করে তোলা হচ্ছে ফলে রাজনৈতিকভাবেও কলেমার বিপরীতে অপশক্তির দাস দোসর করে জীবন বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং পরিণতিতে আওলিয়া কেরামের আসল পথ তথা প্রকৃত ইসলাম হারিয়ে গেছে, মিল্লাত পরাজিত হয়ে গেছে।
আওলিয়া কেরাম সত্যের ধারক সত্যের দিকদর্শন। যেখানে সত্য নেই সেখানে আওলিয়া কেরাম নেই। যেখানে মিথ্যা সেখানে আওলিয়া কেরাম নেই। সত্যের বিপরীত পথে থেকে, মিথ্যা ও জুলুমের সহযোগী হয়ে আওলিয়া কেরামের অনুসারী দাবী করা শুধু প্রতারণা নয়, তাঁদের সাধনা ও আদর্শের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করা। তরিকত, মাজার ওরশ যা কিছু আমাদের দ্বীনী রূহানী জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় সেসব পবিত্র নামেও চলছে অনেক বিকৃতি ও প্রহসন। অনেক স্থানেই হক বাতেলের কোন প্রশ্ন নেই, সত্যের দিশাও নেই, মিথ্যার বিরূদ্ধেও সচেতনতা নেই, আছে শুধু প্রদর্শনী, ফলে মুক্তিও নেই।
আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথের দিশা আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, পেতে হবে, যেন আমরা ফাঁদে পড়ে জীবন ও দ্বীন বিনষ্ট না করি। কারন অন্ধ লোক কাউকে পথ দেখাতে পারে না, অন্ধের অনুসারী হয়ে কেউ পথ পেতে পারে না বরং তা চরম মূর্খতা ও ধ্বংসাত্মক। যারা ঈমান কুফর পার্থক্য করতে পারে না, হক বাতেল চিনতে পারে না, দ্বীন ও গাইরে দ্বীন বুঝতে পারে না, প্রকৃত সুন্নীয়ত ও ভুয়া সুন্নীয়ত আলাদা করতে পারে না, কলেমার মর্ম অঙ্গীকার ও এর বিপরীত বিষয় সম্পর্কে যাদের ধারনা নাই, দ্বীনের আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক সার্বিক পুর্নাংগতা সম্পর্কে যারা অজ্ঞ, দ্বীন ও মিল্লাতের সমস্যা সংকট এবং বিভিন্ন বাতেল চক্রান্ত চক্রজাল সম্পর্কে যারা অচেতন এমনকি নিজেরাই শিকার, সর্বোপরি কলেমার ভিত্তিতে নিজের আত্মপরিচয়ই যারা জানে না অর্থাৎ তাওহীদ রেছালাত ভিত্তিক আত্মপরিচয় জীবনচেতনা এবং বিপরীত নাস্তিক্য উদ্ভূত বস্তুবাদী বিষাক্ত জীবন জাতীয়তা সম্পর্কে যারা জানে না তাদের যত ডিগ্রি কিম্বা যত মূর্খ অনুসারীই থাক তাঁদের আলেম আওলিয়া কেরামের উত্তরসূরী হিসেবে গণ্য ও গ্রহণ করা যায় না। এ ধরনের পোষাক ও প্রচার সর্বস্ব অন্তসারশূন্য লোকদের নেতৃত্বে তরিকত মারেফাত ও জাতীয় মুক্তি দুরের কথা ঈমানের প্রাথমিক দিশা কিম্বা বাতেল থেকে জীবনকে মুক্ত থাকার প্রাথমিক দিশা, দ্বীনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়াও সম্ভব নয়। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাব
ে আউলিয়াকেরামের নাম ও তরিকতের আড়ালে এমন লোক ও অবস্থা ব্যাপক আকার ধারন করে বিশাল জনগোষ্ঠীকে আঁধারে আবদ্ধ করে মিল্লাতকে ডুবিয়ে দিয়ে সব বাতেলকে কায়েম করে দিচ্ছে। মুসলিম সমাজে বাতেল ফেরকা ও বস্তুবাদ কায়েম বিজয়ী হয়ে মিল্লাত আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক সবদিকে বিধ্বস্ত ও পরাজিত হয়ে যাওয়ার জন্য মূর্খতা ও দিশাহীনতার এ অবস্থাই দায়ী।
এ সংকটজনক অবস্থায় শুধু লক্ষ্যহীন দিশাহীন আনুষ্ঠানিকতা নয়, নিজেদের অস্তিত্ত্বের স্বার্থে আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথ, তাঁদের দিশা ও আমানতের উত্তরাধিকার হয়ে মিল্লাতের জাতীয় মুক্তির বিপ্লবী অভিযাত্রায় আমাদের অবশ্যই যুক্ত হতে হবে, যদি আমরা আওলিয়া কেরামের আপন হই। আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথের পূণরূজ্জীবন ও সে পথে ঐক্যবদ্ধ অগ্রযাত্রার মাধ্যমেই জীবন ও দ্বীন মিল্লাতের হারানো সব কিছু পূণরূদ্ধার ও পূণপ্রতিষ্ঠা সম্ভব। আর এটাই হতে হবে আমাদের লক্ষ্য।
আমরা যারা আল্লাহ ও তাঁর হাবীবের উদ্দেশ্যে আওলিয়াকেরামকে ভালবাসি, আওলিয়াকেরামের হয়ে চলতে চাই,সত্য ও মানবতার দ্বীনের প্রতিষ্ঠা চাই, মিথ্যা ও জুলুমের অবসান চাই, বাতেলের আগ্রাসন রূখতে চাই, মিল্লাত ও মানবতার মুক্তি চাই, তাদের আজ অবশ্যই সব সংকীর্ণতা মুক্ত হয়ে সব তরিকত খানকা দরবার মুমিন ভাই বোন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ স্রোতধারায় যুক্ত হয়ে দুনিয়া ব্যাপী ছুন্নী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সুন্নী আন্দোলন ব্যতীত সর্ব বাতেল থেকে মুক্তি যেমন সম্ভব নয় তেমনি আওলিয়া কেরামের প্রকৃত পথে দ্বীনের পূর্নাংগ প্রতিষ্ঠাও সম্ভব নয়। এজন্য দয়াময় আল্লাহ ও প্রিয়নবীর প্রেম, আওলিয়া কেরামের শিক্ষা এবং দ্বীন মিল্লাতের জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর উপরে স্থান দিতে হবে।
প্রণেতা: বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বস্তুর উর্ধ্বে মানবসত্তার প্রবক্তা ও খেলাফতে ইনসানিয়াত( Sovereignty of life & state & world of humanity) ) জীবনের সার্বভৌমত্তের ভিত্তিতে সর্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মানবিক সাম্যের ভিত্তিতে সর্বজনীন মানবাধিকারের রূপরেখায় মুক্ত মানবতার অখন্ড প্রাকৃতিক বিশ্বব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক - আল্লামা ইমাম হায়াত

2 comments:

  1. ইসলামের প্রকৃত ধারা আহলে সুন্নাত ওয়ালজামাত বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন

    ReplyDelete

Powered by Blogger.